নতুন কোন মার্কেটিং ক্যাম্পেইন শুরু করার আগে কোন বিষয়টি সব চাইতে গুরুত্বপূর্ণ? কে আপনার প্রসপেক্ট আর কি আপনি বিক্রি করতে চাচ্ছেন এই সব হয়তো আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হবে। আপনার ধারনা হতে পারে এই দুইটা বিষয় জানলেই হলো।
আসলে বিষয়টা তেমন না। গ্রেট লিডস নামক এক বইয়ে লিজেন্ডারি কপিরাইটার মাইকেল মাস্টারসন ও জন ফোর্ডে বলেন যে কোন ক্যাম্পেইন শুরু করার আগে আপনার নিজেকে প্রশ্ন করা উচিত…
আমার প্রসপেক্ট কি জানে?
আর এই বিষয়টাই আপনার সাফল্যের পরিমান নির্ধারন করবে কিংবা বলা যায় সাধারণ ও সাকসেস ফুল ক্যাম্পেইনের মধ্যে পার্থক্য গড়ে দেয়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো হলো ঃ
- আপনার সাম্ভাব্য ক্রেতা আপনার কোম্পানী ও প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানে
- আপনার প্রোডাক্ট যে সমস্যা সমাধান করে তা সম্পর্কে আপনার সাম্ভাব্য ক্রেতা কতটুকু জানে
- অন্য যে প্রোডাক্ট বা সলিউশন আছে সেই সম্পর্কে কতটুকু জানে আর যারা এই প্রোডাক্ট বা সলিউশন তাদের সম্পর্কে কতটুকু জানে।
এই সব বিষয়ে আপনার উত্তর আর সেই অনুযায়ী তৈরি করা হেডলাইন, ইন্ট্রো প্যারাগ্রাফ ঠিক করে দিবে আপনি কি ধরনের লিড পাবেন। এই উত্তর গুলো কেমন লিড পাবেন সেটা ছাড়াও আরো কিছু তথ্য আপনাকে দিবে। যেমনঃ
- ঠিক কতটুকু তথ্য আপনার সাম্ভাব্য ক্রেতার দরকার
- ঠিক কতটুকু সাম্ভাব্য ক্রেতাকে জানানো প্রয়োজন
- ঠিক কোন ধরনের প্রোমোশন আপনার প্রয়োজন হবে
- সাম্ভাব্য ক্লায়েণ্টের সাথে প্রোডাক্টা বা সার্ভিস নিয়ে ঠিক কতটা সরাসরি আলোচনা করা যাবে
- কি ধরনের অফার সব চাইতে বেশি লিড জেনেরেট করবে
আমাদের ক্লায়েন্ট ঠিক কতটুকু ইতিমধ্যে জানে এটা আমরা কিভাবে বের করবো?
উত্তরটা হচ্ছে ক্লায়েন্টের এওয়ারনেস লেভেল থেকে। কপিরাইটার ইউগেন স্কোওয়াচ বলেছেন ক্লায়েন্টের ৫ ধরনের লেভেল অব এওয়ারনেস থাকে।
- মোস্ট এওয়ার – তারা আপনার কোম্পানী ও সলিউশন সম্পর্কে জানে। তারা আপনার ব্রান্ড লয়েল। আপনার কোম্পানীর ইভেন্ট বা প্রোগ্রামে জয়েন করে। এরা আপনার সবচাইতে ভালো ক্লায়েন্ট। এরা বারংবার আপনার কাছ থেকে কিনবে।
- প্রোডাক্ট এওয়ার– তারা আপনার প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানে। কিন্তু কখনো কিনে নি। তারা কম্পিটিটরের প্রোডাক্ট সম্পর্কেও জানে। তারা নিশ্চিত হতে পারছে না কোন প্রোডাক্টটি তাদের জন্য ভালো হবে।
- সলিউশন এওয়ার- তাদের সমস্যার সলিউশন আছে এটা তারা জানে। কিন্তু নির্দিস্ট কোন প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে জানে না। আপনার কোম্পানী ইন্ড্রাস্ট্রিতে খুব পরিচিত না হলে তারা আপনার কোম্পানী সম্পর্কে জানে না।
- প্রবলেম এওয়ার– তারা জানে তাদের সমস্যাটি আছে। সমস্যাটি সম্পর্কে তাদের ধারনা আছে কিন্তু সমস্যাটি সম্পর্কে পুরোপুরি বুঝতে পারে না। তারা আগে এই ধরনের সমস্যা নিয়ে ডিল করে নি। তারা সাম্ভাব্য সলিয়ুশন সম্পর্কেও জানে না।
- আনএওয়ার -সমস্যা সম্পর্কে কোন ধারনা নাই। তারা জানে না যে ভাবে আছে তার চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে। আপনার প্রোডাক্টটি যদি পুরানো কোন সমস্যা সমাধানের চেস্টা করে তবে আপনার ক্লায়েণ্ট এই লেভেলের।
এওয়ারনেস লেভেল অনুযায়ী ক্রেতাদের চাহিদা ও প্রয়োজন ভিন্ন ভিন্ন হয়। এওয়ারনেস লেভেল যত কম হবেঃ
- তত বেশি এডুকেশন প্রয়োজন হবে তার নিকট সেল করতে
- সেলস পিচে তত অনাগ্রহী হবে
- আপনার প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সম্পর্কে তত ইন্ডিরেক্টলি তাকে বলতে হবে
কাস্টোমার এওয়ারনেস লেভেল নির্ধারণ খুবই জরুরী। কাস্টোমার এওয়ারনেস লেভেল অনুযায়ী সেগমেন্টেশন করে মার্কেটিং ক্যাম্পেইন করলে তার কনভার্সন বেশি হবে।
কিভাবে কাস্টমোয়ার এওয়ারনেস বের করা যাবেঃ
আপনি যে সমস্যাটি সমাধান করছে তার সম্পর্কে প্রশ্ন করুনঃ
- সমস্যাটি সম্পর্কে মানুষ কত ভালো ভাবে জানে
- প্রসপেক্ট সমস্যা সম্পর্কে জানে তার সম্ভাবনা কেমন
- বাজারে অন্য আরো কেমন ও কাদের সমাধান রয়েছে
- এই সমাধান গুলো ঠিক কত পরিচতি
আপনার কোম্পানী নিয়ে প্রশ্ন করুনঃ
- আপনার কোম্পানী কতটা পরিচিত
- প্রসপেক্টের যে সমস্যা সেই ইন্ড্রাস্ট্রিতে আপনার কোম্পানী কতটা পরিচিত
- প্রসপেক্ট আপনার বিজ্ঞাপন দেখেছে তার সম্ভাবনা কেমন
আপনার সমাধান সম্পর্কে প্রশ্ন করুনঃ
- এটি কি একেবারে নতুন? ঠিক কতদিন ধরে মার্কেটে আছে?
- এটি কি ইউনিক? ঠিক একই রকম সমাধান কি বাজারে আছে?
- কেমন বিজ্ঞাপন আপনি আগে করেছিলেন
আপনি যখন এই বিষয় গুলো জানবেন আপনার মার্কেটিং আর সেলস প্রসেস সহজ হয়ে আসবে।
আমরা যারা অনলাইনে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস সেল করি বা সেল করার কথা ভাবছি, আমাদের যাদের সাইট আছে কিংবা সাইট তৈরি করার কথা ভাবছি তার যদি কাস্টোমার এওয়ারনেস লেভেল অনুযায়ী মার্কেটিং করি তবে আমাদের সাফল্য অনেক গুন বেড়ে যাবে।
মাস্টারিং কন্টেন্ট স্ট্রাটেজি কোর্স
সহজেই এফিয়েট, বিজনেস ও ই-কমার্স সাইটের কনটেণ্ট তৈরি করুন।