একটা সাইট তৈরি করার পর ভিজিটর তৈরি হয় মূলত ব্লগ, সার্চ ইঞ্জিন ও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে। এই তিন মাধ্যমের জন্য কনটেণ্ট প্রয়োজন। অনলাইন বিজনেস তৈরি ও বড় করার জন্য কনটেন্ট বিষয়ে দক্ষতা অর্জন প্রতিটি বিজনেস ও প্রফেশালদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে বিজনেস তৈরি হয়েছে কম। অনেকে কিভাবে ক্লায়েন্ট পাবে সেটা ঠিক বুঝতে পারে না। আবার যারা তৈরি করেছে তারা কনটেণ্ট মার্কেটিংয়ে কিছুটা উদাসীন হওয়ার কারনে বিজনেসের গ্রোথটা ঠিক সেই ভাবে হচ্ছে না। এই বিষয়টাকে সহজ করে তোলা যায় আর আমাদের এই কোর্স সেই কাজটি করবে।
যে কোন অনলাইন বিজনেসের ব্রান্ড তৈরি করতে হয়, ভাবমূর্তি তৈরি করতে হয়, ভিজিটর থাকতে হয়, লিড জেনেরেট করতে হয়, সেলস করতে হয়, এবং গ্রোথ কিংবা প্রফিট বাড়াতে রিপিট সেল করতে হয়।
বিজনেসের যে গোল বা লক্ষ্যের কথা উপরে বলা হলো তার অনেক কিছুই এডভার্টাইজমেন্টার মাধ্যমে করা যায়। অনলাইন এডভার্টাইজমেন্ট ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অনলাইন এডভার্টাইজমেন্টের তুলনায় কনটেন্ট অনেক বেশি ভূমিকা রাখতে পারে। কনটেণ্ট তৈরি করে তা প্রচার করা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের একটা পাওয়ারফুল স্ট্রাটেজি। এই স্ট্রাটেজি কনটেণ্ট মার্কেটিং বলে।
কনটেণ্ট মার্কেটিংয়ের অন্যান্য ডিজিটাল মার্কেটিং স্টাটেজির তুলনায় বেশি ফলাফল ( আরওআই) নিয়ে আসে বলে বড় বড় বিজনেস গুলো কনটেণ্ট মার্কেটিংয়ে তাদের বাজেট ক্রমশঃ বাড়াচ্ছে।
অনলাইন বিজনেসে কনটেন্ট এমন অনেক কিছু করে যা অন্য ভাবে করা সম্ভব না। যেমন ধরুন কোন কোম্পানী নেগেটিভ বিষয় গুলোকে পজিটিভ করতে খুবই সহজেই কনেন্টের সাহায্য নিতে পারে।
আবার এডভার্টাইজমেণ্ট স্টাটেজির একজেকিউট করার জন্যও কনটেণ্ট প্রয়োজন হয়। একটা অনলাইন বিজনেসে কনটেণ্ট তাই অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
সেলস পেতে হলে বিজনেসকে তার টার্গেট ক্লায়েন্টের কাছে পৌছাতে হবে। অনলাইনে বিভিন্ন প্লাটফর্মের মাধ্যমে বিজনেস গুলো এই টার্গেট ক্লায়েণ্টের কাছে পৌছায়। যেমন ফেসবুক মার্কেটিং, গুগল এডভার্টাইজিং। গ্রুপ, পেইজ কিংবা নিজের ওয়ালে লিখে ফেসবুক ব্যবহারকারীরা কনটেন্ট তৈরি করে যা ফেসবুক পাবলিশ করে। আর সেই কনটেন্টের মধ্যে ফেসবুক এডভার্টাইজমেন্ট দেখায়। আবার ব্লগাররা কনটেণ্ট পাবলিশ করে। তার মাঝেই গুগল এড দেখায়।
এড দেখাতে হলে কাউকে না কাউকে কনটেণ্ট তৈরি করতে হবে। কেউ না কেউ পাবলিশার হতে হবে। ট্র্যাডিশনাল মাধ্যমেও আমরা সেটা দেখি। যেমন টিভি, পত্রিকা গুলো হলো পাবলিশার। তারা কনটেন্ট তৈরি করে আর সেই গুলো অন্যরা দেখে বা পড়ে। তাদের কনন্টেন্ট অর্ডিয়েন্স ক্রিয়েট করে যাদের কাছে পৌছানোর জন্য বিজনেস গুলো এডভার্টাইজমেন্ট দেয়।
এই এডভার্টাইজমেন্ট বিজনেস গুলোকে ব্রান্ড তৈরি, লিড তৈরি কিংবা সেল করতে সাহায্য করে।
এখন বিজনেস গুলো নিজেরাই পাবলিশার। তারা নিজেরা কনটেণ্ট তৈরি করে সেই গুলো প্রচার করে অর্ডিয়েন্স তৈরি করে। সেই অর্ডিয়েন্স তাদের সাইটে নিয়ে আসার পর সেই কনটেন্টের মাঝে নিজেদের প্রোডাক্ট বা সার্ভিসের তথ্য প্রদান করে কিংবা বিজ্ঞাপন দেয়।
অথ্যাৎ বিজনেস গুলো নিজেই এখন পাবিলিশার এবং এডভার্টাইজার হতে পারছে। এই সুযোগ আগে ছিলো। বিগত কয়েকবছরে পাবলিশিং/ব্লগিং প্লাটর্ফম বিশেষ করে ওয়ার্ডপ্রেসের মাধ্যমে তৈরি করা খুবই সহজ হয়ে যাওয়ার কারনে এমন সুযোগ তৈরি হয়েছে।
এখন যারা ভালো কনটেন্ট তৈরি করতে পারবে তারা অনলাইনে সফল বিজনেস তৈরি করবে।
গ্রেট কনটেন্ট = অর্ডিয়েন্স
কনটেন্ট মার্কেটিংয়ের ফরমূলা হলো ভালো ও উন্নত কন্টেন্ট তৈরি করে অর্ডিয়েন্স তৈরি করে এডভার্টাইজিং অপরচুনিটি তৈরি করা। এই স্ট্রাটেজির পূর্ব শর্ত হলো ভালো কনটেণ্ট। ভালো কনটেণ্ট তৈরি না করলে অর্ডিয়েন্স তৈরি হবে না। আর অর্ডিয়েন্স তৈরি না হলে এডভার্টাইজমেন্টের সুযোগ সৃস্টি হবে না।
কিছু উদারহণ দেয়া যাকঃ
মজ কে আমরা সবাই চিনি। মজ আসলে একটা এসইও সফটওয়্যার কোম্পানী। পাশাপাশি তারা খুব ভালো পাবলিশারও। তাদের কনটেণ্ট এসইও প্রফেশনালদের ( যারা তাদের টার্গেট মার্কেট) জন্য গো টু সোর্স। মজের যে পরিচিত, এক্সপার্ট রেপুটেশন তৈরি হয়েছে সেটা তাদের হাই কোয়ালিটি কনটেণ্টের মাধ্যমে। এক কনটেন্টের মাধ্যমে তাদের সাইটে অর্ডিয়েন্স আছে। সেই অর্ডিয়েন্স তাদের প্রোডাক্ট সম্পর্কে জানতে পারে।
বাফার সোশ্যাল মিডিয়া অটোমেশন টুলস। অনেকটা মজের মতো। বাফার মযের মতো তাদের অর্ডিয়েন্সের জন্য কনটেণ্ট, সোশ্যাল মিডিয়া সহ নানা বিষয়ে কনটেন্ট পাবলিশ করে। এক সাক্ষাৎকারে তাদের এক উদ্যোক্তা জানিয়েছে যে শুরুতে ১০০% নতুন ক্লায়েন্ট আসতো কনটেন্ট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে। গেস্ট ব্লগিং ছিলো তাদের ১ নং মার্কেটিং স্ট্রাটেজি।
এই রকম অনেক সফল কনটেন্ট মার্কেটিং সাফল্য আমরা পুরো কোর্সে তুলে ধরবো। তবে এই দুইটা সহ ওয়েবে পাবলিশ হওয়া নানা ধরনের কেইস স্টাডি থেকে আমরা বুঝতে পারি অনলাইনে মিডিয়া হতে হলে কনটেণ্ট বিষয়ে মাস্টারি তৈরি করতে হবে।
কন্টেন্ট তৈরি করে প্রচার করে অর্ডিয়েন্স তৈরি করা একটা প্রসেস। এই প্রসেসের সাথে স্ট্রাটেজিও থাকে। কনটেণ্ট মার্কেটিং প্রসেস ও স্ট্রাটেজির সমন্বয়।
কারো কোন প্রোডাক্ট/সার্ভিস দরকার হলে সেটা সে যে কোনো সেলার থেকে কেনে না। সে বিভিন্ন প্রসেসের মধ্যে দিয়ে যায়। আবার সবাই একটা বিজনেসের ক্রেতা না। একটা বিজনেসকে শুরুতেই জানতে হয় তার ক্রেতা কারা ( বায়ার পারসোনা) , তারপর তার কোন কিছু কেনার যে জার্নি ( বায়ার জার্নি) সেই অনুযায়ী তার জন্য কনটেন্ট তৈরি করতে হয়।
কনটেণ্ট স্ট্রাটেজি কোর্সে আমরা কনটেন্ট মার্কেটিং প্রসেস ও স্ট্রাটজি শিখবো যাতে করে অনলাইন বিজনেস তৈরি, ব্রান্ডিং, লিড জেনেরশন ও সেলস করতে পারি।