কনটেণ্ট, কনটেণ্ট স্ট্রাটেজি ও কনটেন্ট মার্কেটিং নিয়ে ধারাবাহিক কয়েকটি পর্বের এটি প্রথম পর্ব। ধারাবাহিক এই লেখায় কন্টেট, কন্টেণ্ট মার্কেটিং আর কনটেণ্ট স্ট্রাটেজি নিয়ে গুরুতপূর্ণ কিছু বিষয় তুলে ধরবো। আমার এই লেখার উদ্দেশ্য অনলাইনে বিজনেস তৈরি ও গ্রো করতে কনটেন্ট যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে তা তুলে ধরা আর কিভাবে কনটেণ্ট মার্কেটিং নিজের বিজনেসে এপ্লাই করা যায় তা তুলে ধরা।
যে কোন কিছুর দুইটা সাইট আছে – একটা ভুল আর একটা সঠিক। অনলাইন মার্কেটিংয়ের নানা রকম স্ট্রাটেজি আছে – পেইড এডভার্টাইজমেন্ট, এসইও, ইমেইল মার্কেটিং ইত্যাদি। কেবল একটা পদ্ধতির উপর নির্ভর করাটা ভুল।
আবার বেটার রেজাল্ট, লো কস্ট, লং টার্ম রিটার্ণ নিয়ে আসে এমন স্ট্রাটেজি ইমপ্লিমেন্ট না করা বিজনেসের জন্য ভুল।
কনটেণ্ট মার্কেটিং ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের অন্য যেকোনো মার্কেটিং স্ট্রাটেজির তুলনায় সাশ্রয়ী আর উচ্চ আরওআই সম্পন্ন।
কনটেন্ট ইজ কিং। প্রমানিত সত্যি কথা। এই কথাটা প্রায় সবাই জানে। ওয়েবসাইট মানেই কনটেণ্ট। সেটা অডিও ভিজুয়াল হউক আর টেস্কট হউক। সাইট তৈরির জন্য বেসিক পেইজগুলো থেকে শুরু করে ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের জন্য প্রয়োজন।
ডিজিটাল মার্কেটিং স্ট্রাটেজির সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ কম্পোনেন্ট হলো কনটেণ্ট। সার্চ ইঞ্জিনে র্যাঙ্ক থেকে, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে, অন্য সাইট থেকে সাইটে ভিজিটর আনতে কনটেণ্ট প্রয়োজন।
কনটেন্ট মার্কেটিং আবার ক্লায়েন্ট একুইজেশনের ক্ষেত্রে অন্য ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের চেয়ে কয়েকগুন বেশি কার্যকর। কনটেন্ট সাম্ভাব্য ক্রেতার মাঝে আস্থা ও বিশ্বাস আর সম্পর্কে তৈরি করে সহজেই।
বিটুবি আর বিটুসি মার্কেটারদের ৮০% এর উপরের কনটেন্ট মার্কেটিংকে তাদের কোর স্ট্রাটেজির অংশ করেছে। কারন তারা দেখেছে কনটেণ্ট থেকে লিড আর সেলস জেনেরেট হয় অনেক গুন বেশি।
এডভার্টাইজমেন্টের মাধ্যমে তাদের কোম্পানীকে যারা খুজে পায় তাদের চেয়ে যারা আর্টিকেল থেকে খুজে পায় তারা অনেক বেশি কনর্ভাট হয়। ক্রেতারা যখন কোন কনটেণ্টকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করে তখন কোম্পানীকেও বিশ্বাস যোগ্য মনে করে।
মোবাইল আর সোশ্যাল মিডিয়ার ইউজারের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। এই বিশাল সংখ্যক ব্যবহারীরদের কাছে পৌছাতে হলে প্রয়োজন কনটেণ্ট।
কনটেন্ট অনেক ধরনের ভূমিকা পালন করতে পারেঃ
- কোন কোম্পানীর ব্রান্ড এক্সপোজার বাড়াতে পারে
- ভিজিটর বাড়াতে পারে
- লিড বাড়াতে পারে
- সেলস তৈরি করতে পারে
- কাস্টোমার সার্ভিসে সাহায্য করতে পারে।
নানা রকমের কনটেণ্ট, নানান অবজেক্টিভ আর ক্রেতাদের বায়িং জার্নি হয় আলাদা। সব কিছু বিবেচনা নিয়ে কনটেন্ট তৈরি করতে পারলেই সাফল্য আসে। কিন্তু বিষয় গুলো অতটা সরল রৈখিক না। সব কিছু করতে হয় একটা কৌশল আর পরিকল্পনার মাধ্যমে।
কিওয়ার্ড রিসার্চ করে ব্লগ পাবলিশ করলেই কিংবা কিছু তথ্য নিয়ে সাইট তৈরি করলেই বিক্রি বাড়বে না, ব্রান্ডিং তৈরি হবে না। হলেও তেমনটা হবে না যেমনটা হওয়া উচিত। টিকে থাকার জন্য যেমন নির্দিস্ট পরিমান সেলস প্রয়োজন, ঠিক তেমনি ক্রমাগত উন্নতির জন্য সেলস ক্রমশঃ বাড়ানোর প্রয়োজন।
এমন যদি হয় সুযোগ আছে কিন্তু তা ব্যবহার করা হচ্ছে না তাহলে সেটা বড় হওয়ার জন্য খুবই ক্ষতিকর। ছোট সম্ভাবনাকে বড় করার মাধ্যমেই বড় হতে হয়।
কনটেন্ট নিয়ে উত্তোরত্তর ভালো ফলাফল পেতে হলে কন্টেন্ট সম্পর্কে, কন্টেণ্ট মার্কেটিং সম্পর্কে আর কনটেণ্ট স্ট্রাটেজি সম্পর্কে সুপস্ট ধারনা থাকা অত্যাবশক।
শেখাটা গাইডেড হলে সময় বেচে যায় আর সহজেই শেখা যায়।
নতুনদের কনটেণ্ট সম্পর্কে আর কন্টেন্ট মার্কেটিং সম্পর্কে জানার লার্নিং কার্বটা একটু দীর্ঘ। একটা ফাউন্ডেশনাল নলেজের প্রয়োজন হয়। কনসেপ্ট বুঝতে হয়, ইলিমেন্ট গুলো বুঝতে হয়, প্রসেস বুঝতে হয়।
ওয়েবে এই নিয়ে প্রচুর তথ্য আছে। কিন্তু সমস্যা হয় সব গুলো বিষয়কে একত্রিত করে পাওয়া। কনটেণ্টের সাথে কমপ্লিমেন্টরি আর সাপলিমেন্টরি অনেক কিছুই বুঝতে হয়। নতুনদের জন্য তাই বিষয়টা একটু জটিল হয়ে যায়। চেস্টা চালিয়ে গেলে সময় কয়েক গুন বেশি লাগলেও শেখা যায়।
কাদের কন্টেন্ট স্ট্রাটিজি জানা বা শেখা উচিত?
যাদের যে কোন ধরনের অনলাইন বিজনেস আছে, অনলাইন মার্কেটিং প্রফেশনাল, আর যারা নতুন করে বিজনেস শুরু করতে চায়। যিনি অনলাইন বিজনেস পরিচালনা করেন তিনি যদি কন্টেন্ট তার বিজনেসের জন্য কি করতে পারে আর তা কেমন করে করতে হয় জানে তাহলে অবশ্যয় তিনি তার বিজনেস বাড়াতে সঠিক পথে তার টিমকে পরিচালনা করতে পারবেন।
যিনি নতুন করে বিজনেস শুরু করতে চাচ্ছেন তিনি যদি জানেন কেমন হউয়া উচিত তার সাইটের ইনফরমেশন হায়ারকি, কারা তার বায়ার, তাদের বায়িং জার্নি কেমন আর প্রত্যেক পেইজের জন্য কেমন কনটেন্ট থাকা উচিত তাহলে তিনি খুব ভালো ভাবে সাইটটি তৈরি করতে পারবেন, লিড কালেক্ট করতে পারবেন। লিডকে ক্লায়েণ্ট কনর্ভাট করতে পারবেন।
কনটেণ্ট স্ট্রাটিজকে খুবই গুরুত্বের সাথেই নতুন ভাবে করতে যাওয়া আর বর্তমানে আছে এমন সব বিজনেসকে নিতে হবে।
পরের পর্বে আমরা কনটেণ্ট মার্কেটিংয়ের কিছু উদাহরণ নিয়ে আলোচনা করবো। যেখানে আমরা দেখবো কন্টেণ্ট কি ধরনের সাফল্য নিয়ে এসেছে।
towhidul islam says
ami ekdom nutun.amr kono online business nai ba kono website o nai but ami ei course Tar jonne booking diyechi.akn amr kotha holo ei course Ta amr Jonne Ki kaze asbe???but amr plan aCe online business korar.Jeta valo Guid lainer obabe hosche na.Plz amai ekto solution diven ei coruse Ta Kore, ami ki amr carirer dar koraite Parbo.ekto solution diven plz.R amar jonne kun coruse ta better hobe taw ekto janaben plz.jehetw ami ei line totally new.
প্রায়োগিক says
ডিজিটাল মার্কেটিং ও অনলাইন বিজনেসের সাথে জড়িত থাকলে অথবা জড়িত হতে চাইলে অনেক রকম বিষয় সম্পর্কে জানতে চায়। কন্টেন্ট তেমনি একটা বিষয়। কন্টেন্ট তৈরি, মার্কেটিং, স্ট্রাটেজি এই বিষয় গুলো নিয়েই হবে কোর্স। আপনার যেহেতু পরিকল্পনা আছে অনলাইন বিজনেস করার সেই ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যয় উপকৃত হবেন। এই কোর্সের শুরুর দিকে সাইট তৈরি করতে কনটেণ্ট নিয়ে যে ধরনের পরিকল্পনা থাকার দরকার তা থাকছে। এতে করে যারা নতুন বিজনেস করতে চায় তাদের যে সমস্যা গুলো হয় তা হবে না। তারা সহজেই পরিকল্পনা করে শুরু করতে পারবে।
Abu Hassan Md Abad says
I think it will be helpful for the newbie who want to run his career as a content marketer.I hope such type newsletters enhanch the quality of a freaser one and it will be a continuous action’
Nuzat Tabassum says
ধন্যবাদ।