বেশিরভাগ মার্কেটার একজন কাস্টমারের মুল্য কত সেটা আন্দাজ করে। ভিজিটরদের পিছনে প্রতি ওয়েবসাইট ট্রাফিকের জন্য কত খরচ করতে হবে সেটা তারা অনুমান করে।
কিন্তু একজন সাকসেসফুল মার্কেটার তা হিসাব করে বের করে।
তারা মুলত ডাটার, স্প্লিট টেস্ট বা ম্যাথের উপর ভিত্তি করে হিসাব সমন্বয় করে।
দেখা যাক কিভাবে এটা ক্যালকুলেশন করা হয়।
২টা সিম্পল ফর্মুলার সাহায্যে আমরা কাস্টমার ভ্যালু বের করবো।
প্রতিটা সফল অনলাইন ব্যবসায়ীদের সবসময় এই দুইটা মার্কেটিং মেট্রিক্স মনিটর করা উচিত।
১। এভারেজ কাস্টমার ভ্যালু (এসিভি)– যা আপনাকে বলবে কোন কাস্টমার কতটা মুল্যবান
২। এভারেজ ভিজিটর ভ্যালু (এভিভি)– যা আপনাকে বলবে একটা ক্লিকের জন্য কি পরিমান আপনাকে খরচ করতে হবে।
কিভাবে এই দুইটি ফর্মুলা আপনার বিজনেসে প্রয়োগ করবেন?
আমরা আপনাকে একটা সলিড উদাহরন দেখাবো।
কিন্তু তার আগে আপনাকে সিস্টেমটা জানতে হবে।ডিজিটাল মার্কেটার হিসেবে ,আমরা একটা সিস্টেম ব্যবহার করি যার নাম হচ্ছে কাস্টমার ভ্যালু অপটিমাইজেশন/ ডিজিটাল রেভেন্যু ইঞ্জিন।
আমরা এই সিস্টেমকে ব্যবহার করি প্রত্যেক বিজনেসে যা আমরা শুরু করি, একোয়ার করি বা কনসাল্ট করি।
আপনার গোল হবে একটা নতুন কাস্টমার একোয়িজিশন করতে আপনাকে আপনার কম্পিটিটরদের চেয়ে বেশি পরিমানে খরচ করতে পারার আগ্রহ থাকা। যদি আপনি পারেন , তাহলে আপনি জয়ী হবে।
একজন ওয়েট লস/ফিটনেস ব্লগার যেভাবে মার্কেটিং ফানেল তৈরি করে।
- ট্রিপওয়্যার অফার- এই অফারে ৫% নতুন লিড কাস্টমারে কনভার্ট হয়। এই অফারের মুল্য ১০ডলারের নিচে হওয়ার ভালো।
- কোর প্রোডাক্ট অফারিং- কোর অফারে ১০০ডলারের প্রোডাক্ট প্রমোট করা হয় যা ৩০% কাস্টমারে কনভার্ট হয়।
- রেভেন্য ম্যাক্সিমাইজার- এই অফারে ৩০০ডলারের প্রোডাক্ট প্রমোট করা হয় যা ১০% কাস্টমারে কনভার্ট হয়।
স্মার্ট মার্কেটাররা ২টা প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করে এই নাম্বারগুলো দেখার পর।
১। একজন কাস্টমার কত বেশি মুল্যবান (এভারেজ কাস্টমার ভ্যালু)
২। একটা ট্রাফিকের পিছনে কাস্টমার প্রতি কত খরচ করতে হবে। (এভারেজ ভিজিটর ভ্যালু)
কিভাবে এভারেজ কাস্টমার ভ্যালু ক্যালকুলেট করা হয়।
মনে রাখতে হবে, হিসাবটা এভারেজ কাস্টমার ভ্যালু নিয়ে, কাস্টমার লাইফটাইম ভ্যালু নিয়ে নয়।
এসিভির ফর্মুলাটা হচ্ছে-
ট্রিপওয়্যার প্রাইস+ (কোর অফার প্রাইস * কোর অফার কনভারসন রেট) + (প্রফিট ম্যাক্সিমাইজার প্রাইস * প্রফিট ম্যাক্সিমাইজার কনভারসন রেট) = এভারেজ কাস্টমার ভ্যালু
উপরের উদাহরন অনুযায়ী হিসাব করলে এসিভি যা হয়-
$7+ &100(.3)+ $300(.1)= &67 এভারেজ কাস্টমার ভ্যালু
অর্থ্যাৎ প্রতি ৭ ডলারের একটা প্রোডাক্টের পিছনে আপনি আসলে লাভ করছে ৬৭ ডলার।
অন্যভাবে বলা যায়, আপনি ৬৭ ডলার খরচ করছে ৭ ডলারের একটা প্রোডাক্ট সেল করার জন্য।
এবার বুঝতে পারছেন এসব নাম্বার জানার ক্ষমতা যা আপনারকম্পিটিটরকে পিছনে ফেলবে
আরো বাকি আছে।
কিভাবে এভারেজ ভিজিটর ভ্যালু ক্যালকুলেট করা হয়।
এখন আপনি নিশ্চয় জানেন আপনার কাস্টমাররা কত মুল্যবান। এখন আপনি হিসাব করতে পারবেন একজন কাস্টমারের পিছনে আপনাকে কত টাকা খরচ করা উচিত।
এভাবে আপনি মার্কেটে ডোমিনেট করবেন। যেখানে আপনার কম্পিটিটর অনুমান করছে সেখানে আপনার কাছে ডাটা আছে।
চলুন দেখি কিভাবে এভারেজ ভিজিটর ভ্যালু ক্যালকুলেট করা হয়।
এভারেজ কাস্টমার ভ্যালু(এসিভি) * ট্রিপওয়্যার কনভারসন রেট = এভারেজ ভিজিটর ভ্যালু
উপরের ফানেল অনুযায়ী হিসাব করলে দেখা যায়,
$67 * .05 = 3.35 এভারেজ ভিজিটর ভ্যালু
তার মানে প্রতি ক্লিকের জন্য আপনি ৩.৩৫ ডলার খরচ করতে পারবেন কোন রকম লসে না পড়ে।
ডিপেন্ডেন্সি ক্লজ
কিছু ফানেলে আসলে হিসাব করা যায় না যদি কোন ডাটা না থাকে। অর্থ্যাৎ ডিপেন্ডেন্সি ক্লজ বলতে বুঝাচ্ছে আপনার ফানেলের কিছু অফার হয়ত পুর্বের কোন ক্রয়ের উপর নির্ভর করছে।
উদাহরনস্বরুপ বলা যায়, যদি আপনি কোর ভ্যালুর কাস্টমারদের ৩০০ ডলারের কোচিং অফার করা হয়, তাহলে এসিভি এর ফর্মুলা চেঞ্জ হবে।
এক্ষেত্রে ফর্মুলা হবে,
$7 + $100(.3) + $300(.3 * .1) = $46 এভারেজ কাস্টমার ভ্যালু
একজন কাস্টমারের মুল্য হিসাব করার পার্থক্য লক্ষ্য করুন যে কোচিং অফার কিনেছে। কারন অফারটা ১০০ ডলারের কোর্স কেনার উপর ডিপেন্ডেড ছিল।
এটাই হচ্ছে ফ্যাক্ট।